Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
আলতাদিঘী ও শালবন
বিস্তারিত

 

 

ধামইরহাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহ

আলতাদিঘীঃ

 

ধামইরহাট উপজেলার ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে আলতাদিঘী অন্যতম । ধামইরহাট উপজেলায় মোট বনভূমির পরিমাণ ১৪০১.৬৯ একর। এর মধ্যে উপজেলা সদর হতে প্রায় ৫ কিমি উত্তরে ভারতের কোল ঘেঁষে আলতাদিঘী ও তৎসংলগ্ন বন এলাকার ২৬৪.১২ (৬৫২.৩৭ একর) হেক্টর জায়গাকে  পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৪-১২-২০১১ তারিখের পবম-বন-শা-২-৪৮-২০১০-৩৭৮ নম্বর প্রজ্ঞাপনমূলে ‘‘আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান’’ঘোষণা করা হয়েছে।  নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিঃ মিঃ  উত্তর ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেঁষে এবং জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে ১৯ কিঃ মিঃ পশ্চিমে এ জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। নওগাঁ জেলার সর্ববৃহৎ এই দিঘীর মোট আয়তন ৫৫.৪৬ একর (পাড়সহ) যার দৈর্ঘ্য ১.২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ০.২০ কিলোমিটার। দিঘীর পাড়ের আয়তন ১২.৬৪ একর যার ৬.২১ একরের মালিকানা বন বিভাগের এবং ৬.১৩ একর ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত। উল্লেখ্য, শুধু আলতাদিঘী জলাশয়ের আয়তন ৪২.৮১ একর। দিঘীটির উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস প্রজাতির অপূর্ব বাগান। অপরদিকে দক্ষিণ পাশে মহিশুরে ও পশ্চিম পাশে দাদনপুরে রয়েছে প্রাকৃতিক শালবন । 

 

জনশ্রুতি আছে বরেন্দ্র অঞ্চলে এক সময় প্রবল খরার কারণে মাঠ-ঘাট সব পুড়ছিল চরম পানীয় জল সংকটে। প্রজাদের দাবীর কারণে স্থানীয় জগদল বিহারের (১০৭৭-১১২০ খ্রিঃ) রাজা রামপাল ও সদর পালের রাজ্য শাসনের সময় রাজমাতা প্রজাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে পূত্রের কাছে বর চাইলেন। ওয়াদা করিয়ে নেন সকালে ঘুম থেকে ওঠে আমি যতদুর পর্যন্ত পায়ে হেটে যেতে পারব ততদূর পর্যন্ত একটি দিঘী খনন করে দিতে হবে। মায়ের কথায় বৃদ্ধমাতা হেটে চলেছেন তো চলেছেন আর তিনি থামেন না।  রাজা , উজির, নাজির, বেকায়দায়, এত লম্বা দিঘী খনন করবেন কি করে তাই কৌশলে বুড়ি মার পায়ে আলতা ঢেলে দিয়ে পা কেটে গেছে বলে তার চলার পথ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এই দিঘীর নামকরণ করা হয় আলতাদিঘী। 

 

সম্প্রতি পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য ছনের ছাউনী দিয়ে বাঁশের বেঞ্চসহ ০২টি গোলঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় বনবিভাগের হিসাবমতে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০০ জন পর্যটক পরিভ্রমনে আসে যাতে স্থানীয় স্টলগুলির আয় হয় প্রায় ৬.০০০ টাকা।